ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের তালিকার শীর্ষে মরিচবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আতঙ্কে শিক্ষক শিক্ষার্থী"

"ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের  শীর্ষে মরিচবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আতঙ্কে শিক্ষক শিক্ষার্থী"



মো. লিয়াকত আলী জমাদ্দার, কাঁঠালিয়া (ঝালকাঠি)


ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়গুলোতে নেই কোন নতুন ভবন। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে মরিচবুনিয়া  মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান। প্রতিদিন ৩০০ শিক্ষার্থী ও ২০ জন শিক্ষক জরাজীর্ণ ভবনে জীবনহানির আশঙ্কা নিয়ে ক্লাস করছেন, ফলে উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। 


১৯৭১সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে রয়েছে দুটি  একতলা পাকা ভবন, ও একটি টিনশেড ঘর। ভবন দুটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাদ ও দেয়ালে ফাটল, খসেপড়া পলেস্তারা এবং মরিচাধরা টিনের ছাউনি নিচু হওয়ায় অনেক গরম অনুভূত হওয়ায় পাঠদানের পরিবেশ অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষক আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই পুরাতন ভবনে ক্লাস চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।


দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার বলেন, ক্লাস চলার সময় ছাদ থেকে প্রায়ই পলেস্তারা খসে পড়ে। এতে আমরা আতঙ্কে থাকি।' 


অভিভাবক সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে সারাদিন দুশ্চিন্তায় থাকি।'


বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. লিয়াকত আলী জমাদ্দার বলেন, ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় আল্লাহর উপর ভরসা করে বাধ্য হয়ে ঝুঁকির মধ্যেই পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছি।'


উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার আজিম বলেন, 'বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি এবং জেলা শিক্ষা অফিস ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।'


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে পরিদশর্ন করে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছে নতুন ভবনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসকের কাছেও পৃথক প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই বরাদ্দ আসবে।' 

0/Post a Comment/Comments